ফাজিল_বান্ধবীর_প্রেমিক - bangla romantic story...

গল্পঃ #ফাজিল_বান্ধবীর_প্রেমিক
লেখকঃ #মোঃ_আরিফুজ্জামান_আরিফ
::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::


_এই যে মিসেস ময়দা,,,,,,,,,,,, সুন্দরী,,,,
_হুম,,, মিস্টার সিগারেট খোর,,,,, 
_কি বললি,,,, তুইইইইইই,,,,
_তুই যেটা বলেছিস,,, সেটার জবাব দিলাম,,,
_দেখ আমি কিন্তু ,,, সিগারেট খাই না,,, আর আমি খুব ভালো একটা ছেলে,,, আমার মত এত ভদ্র পোলা আর এই কলেজেও খুজে পাবি না,,, বিশ্বাস না হলে খুজে দেখ,,,, 
_হুম,,, জানি তো,,, তুই যেমন সিগারেট খাইস না ঠিক আমিও ময়দা মাখি না,,, বিশ্বাস না হলে পরিক্ষা করে নিতে পারিস,,,, 
_সত্যি বলতেছিস,,, আমি তোকে আজ পরিক্ষা করেই ছাড়ব,, আয় তুই আমার সাথে,,,, 
_কেন,,,, কেন,,,, 
_তোকে তো পরিক্ষা করব,,,,, ,, 
_আচ্ছা চল,,, 
,,,
টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে,,,,, টিউবওয়েল এর কাছে,,, কারণ ওর মুখে যে ময়দা মাখা আছে তা পরিক্ষা করতে,,,,, আরেহহহহ,,, আপনারা আমায় মনে করে দিবেন তো,,, আমি এখনও পরিচয় দেই নি,,,, ও হলো আরমান,,, পুরা নাম মোঃ আরমান হোসেন (নিরব),,,, যে পরিক্ষা করার জন্য এই টিউবওয়েল এর কাছে নিয়ে এলো,,,, সেই আরমান,,, আর সে হলো বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান,,,, বাবা অনেক টাকার মালিক,,,, চাকুরীর সুবাদের প্রায়শই ফ্যামিলি সহ বাইরে যেতে হয় তাদের,,,, কারণ ট্রান্সফার হয়ে যান তিনি,, এবার তিনি তমাদের এলাকাতেই ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন,,, সেই সুবাদে ছেলেকে সেখানকার কলেজেই ভর্তি করিয়েছেন,,,,,ছেলেকে যা খুশি তাই করতে দেন,, , কিন্তু আরমান সবকিছু করতে পারলেও প্রেম করতে পারে না,,, । ,,, বিশ্বাস না হলে জিজ্ঞাসা করে দেখুন,, ,,, আর যাকে মুখ ধোয়ার জন্য টানতে টানতে নিয়ে আসছে ও হলো তমা,,, পুরা নাম মিসঃ তমালিকা আহম্মদ (তমা) ,,, তমা হচ্ছে বাবা মায়ের ২য় সন্তান ওর একটা বড় ভাই আছে,,, মানে বোঝাই যাচ্ছে ভিলেনটা কে,,,,,, তমা হচ্ছে আরমানরই ক্লাসমেট,,, ক্লাসমেট বললে ভুল হবে,,, তমা হচ্ছে আরমমানের সব থেকে ভালো বান্ধবী,,, এক কথায় বেষ্ট ফ্রেন্ড,,, কিন্তু খুব ফাজিল,,, কথায় কথায় ফাজলামি করে,,,, 
,,,
_নে,,, এবার পরিক্ষা দে,,, (আরমান)
,,,,
অবাক হয়ে,,, 
_কিভাবে,,,, (তমা)
_আরে,,, তুই এখন তোর মুখ ধুবি,,,, 
_কেন,,, 
 _তুই বললি না,,, তুই ময়দা মাখিস না,,, তা আমি পরিক্ষা করব,,,, 
_থাক লাগবে না,,,, 
_তারমানে তুই শিকার করতেছিস,,, তুই ময়দা মাখিস,,, হি হি হি,,,, 
_এইইই না,,,,, আমি ময়দা মাখি না,,,,
_তাহলে পরিক্ষা দে,,,, 
_আমি পারব,,,, না,,,,, 
_হি হি হি হি,,, তাহলে বোঝা গেল,,, তুই আটা,, ময়দা,, সুজি ইত্যাদি মাখিস,,,, 
_ধুর,,,, 
_ধুর কি হ্যাঁ,,, তাহলে হার মানছিস,,,, 
_না,,,, আমি ময়দা মাখি না,,, জাস্ট হালকা একটু মেকাপ করি,,,, 
 _ওই হলো,,,, আটা,,, ময়দা,,, সুজিই,,,, থাকে ওইটার ভিতরে,,,, 
_না,,, কখনোই না,,,, 
_হুম,,,, থাকে থাকে,,, 
 _তুই কি করে জানলি,,, 
_আরে,,, আমার জি,এফ ব্যবহার করে তো,,,, 
,,,, 
ঈশ,,, গেল তো পান্স হয়ে,, নিজের পান্স নিজেই মারল আমার কোনো সমস্যা নেই,,, আমি তো আমিই,,, , তমা হাসতে হাসতে বলল,,,, 
_তারমানে তোর জি,এফ,,,, ও,,,, ,,,,,,,,,,,,, (তমা) 
_এই না না,,,, মুখ ফসকে গেছে,,,, (আরমান)
_হি হি,,,, হি হি,,, আর বলতে হবে না,,,,, 
_কিইইইইইইই,,,,,
_কিছু না,,, চল আগে,,,, 
_কই,,, 
_ক্লাসে যাবি না,,,, 
_যাব তো,,,, 
_তাহলে চল,,,, 

 ,,,,
,,,
ক্লাসে যেহেতু যেতেই হবে ,,,, আর কি করবে,,,, নিজের পান্স তো নিজেই ফাটালো আরমান,,, ,,,,আমারও কিছু করার নেই,,,, যে ফাজিল একটা বান্ধবী পেয়েছে,,, সবসময় এখন জ্বালাবে,,,,,,,
,,,, ওদের তো ক্লাস চলতেছে,,, চলুন শুরুটা কিভাবে হলো ওদের সেটা এখন বলি,,,, 
,,,
আরমান যে বাবার একমাত্র সন্তান তা তো জানাই আছে,,,, আর তার বাবা এমন একজন মানুষ যে তার সন্তানকে কোনোদিন মায়ের অভাব বুঝতে দেন নি,,, মা মারা গেছে যখন সে ৬ বছরের শিশু,,, থাক ওদিকে না যাই,,, ,
,,
প্রথম যেদিন আরমান কলেজে যায় সেদিনই তমার সাথে আরমানের পরিচয় হয়,,, আরমান নতুন,,, কলেজের কিছু চেনে না জানে না,,, তো হঠাৎ তমার আগমনে,,, 
_এই যে একটু শুনবেন,,,, (আরমান)
,,
তমা একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল,,
_আমাকে বলছেন,,, (তমা)
_হুম,,, আপনাকেই,,, আমাকে একটু হেল্প করতে পারবেন,,, 
_হুম,,, কি রকম,,,,
_আসলে আমি এই কলেজে নতুন আর আমার রুমটা খুজে পাচ্ছি না,,, তাই যদি একটু বলতেন,,, 
_আচ্ছা,,, কোন সেকশন এর,,,, 
_মানবিক,,,, 
 _আরে যাহ,,, আমাদের সেকশনরই তো,,, আসুন আপনাকে নিয়ে যাই,,,, 
,,,
তারপর তমা আর আরমান তাদের ক্লাসরুমে গেল,,, এভাবেই তারা তাদের নিজেদের পরিচয় নিলো,,, এরপর ধিরে ধিরে বন্ধুত্ব,,, বন্ধুত্ব থেকে এখন সব থেকে ভালো বন্ধু,,,, তো যাইহোক এরপর যে তারা প্রেমিক-প্রেমিকাতে পরিণত হবে তা বোঝা যাচ্ছে,,,, 
 ,,, 
যাই হোক আরমানদের ক্লাস শেষ,,, চলুন তাদের কাছে বাকিটা শোনা যাক,,,,
ক্লাস শেষ,,,, কি করবে,,, 
 _ওই,,,, ময়দা সুন্দরীর বয়ফ্রেন্ড,,,,,, (তমা)
_ধুর,,, তুই ময়দা সুন্দরী,,,, (আরমান)
_কেন কেন,,,, নিজের বেলায় জ্বলে তাই না,,, 
_হি হি হি হি হি, 
 ,,,
আরমানের হাসি দেখে তমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,,, আমিও জানি না কেন হাসছে,,,কি কারণ হতে পারে নিশ্চয় তমা ভাবতেছে,,, হুম ভাবতেছেই,,,, আর একি বলল,,,, 
 _কি রে,,, হাসিস কেন,,, (তমা)
,,,
হাসতে হাসতেই বলল,,,
_এমনিতেই কি আর হাসা যায়,,, (আরমান)
_তাহলে কি জন্য হাসতেছিস,,, সেটা বলবি তো,,,, নাকি মনে পড়েছে,,, হু হু হু হু,,,, 
_না,,, তুই কত বোকা,,, সেটাই ভাবছি,,,,, 
,,,
তমা রাগান্বিত কন্ঠে বলল,,,
_কিইইইইইইইইই,,,
_কিছু না,,,, তুই যে বোকা তার প্রমান আজকে পেলাম,,,, 
,,
তমা রাগান্বিত হয়ে আরমানের দিকে তাকিয়ে বলল,,,
_কিভাবে
_কিভাবে আবার,,,, আমার যে জি,এফ নেই তুই ভালো করেই জানিস,,,, হিহি,,,, আর তুঈ একটা গাধা,,, তার প্রমাণ তুই দিলি,,,,, 
_তাই,,,,,, তাহলে তুই নিজেকে খুব চালাক ভাবিস তাই না,,,, 
,,,
একটু কথার মাঝে ভাব নিয়ে আরমান বলল,,, 
_হুম,,,, আমার মত আর একটা ছেলে দেখা যে এত চালাক আর তোর মত গাধাকে সাথে নিয়ে ঘুরে,,,, 
,,আবার রাগান্বিত কন্ঠে তমা বলল
_কিহহহহ,,,
_কিছু না,,,,
,,,,
এভাবে ফাজলামী করতে থাকে তারা,,, দিনের পর দিন আর রাতের পর রাত তাদের ফাজলামী চলতে থাকে,,,, 
,,,
তো একদিন তমার বড় ভাই পায়েল,,, আরমানকে পথে আটকিয়ে শাষিয়ে যায়,,,, আসলে তমার ভাইয়ের এটা পছন্দ ছিলো না,,, তাই।,,,
_এই যে ছেলে,,,, (পায়েল)
,,
আরমান চারিদিক ঘুরে দেখ কেউ নেই,,, তারমানে তাকেই ডাকছে,,, 
_আমায় ডাকছেন ভাইয়া,,, (আরমান)
_তোমার নামই তো আরমান,,, তাই না,,,, 
_হুম,,, ভাইয়া,,,, আপনি তো তমার বড় ভাই,,,, 
_হুম,,,, শোন তোমাকে একটা কথা বলি,,, তুমি আজ থেকে আর কখনো তমার সাথে কথা বলবা না,,,, 
_কেন ভাইয়া,,, 
,,, 
পায়েল রাগ হয়ে বলল,,, 
_কোনো কেন নেই,,,, তুমি তমার সাথে কথা বলবে না ব্যাস,,, 
,,
আরমান ভয় পেয়ে বলে,,, 
_আচ্ছা,,, ভাইয়া,,, 
_যাও এখন,,, 
,,,
আরমান কিছুদিন তমার সাথে কথা বলা বন্ধ করল,,,, ঠিকমত কলেজে যায় না,,, ফোনও প্রায় সময় বন্ধ করে রাখে,,,,,
,,এদিকে তমা প্রায় অস্থির,,,কারণ তার আরমানকে না দেখলে ভালোই লাগে না,,, আরমানকে দেখার জন্য তার মনের মধ্যে আগুন জ্বলতেছে,,, এ আগুন যেন এত সহজে নিভবে না,,,, যতক্ষণ পর্যন্ত না আরমানকে দেখতে পাচ্ছে,,, 
,,, 
হঠাৎ একদিন,,, আরমানের কলেজে কি যেন একটা দরকার পড়ল তাই কলেজে গেল,,,, তমা আগেই কলেজ গিয়েছে,,,, আরমান তমাকে দেখেও না দেখার অভিনয় করে তমার সামনে দিয়ে রুমে গেল,,,, 
আরমানের এমন ব্যবহার দেখে তমা অবাক,,, কি হলো এটা,,,, আর কেনই বা হলো,,, আরমান তাকে এড়িয়ে চলছে,,, এর কারণ কি,,, তো আরমানকে পিছন থেকে ডাক দিলো তমা,,,, 
_আরমান,,,,, এই আরমান,,, (তমা)
,,, 
আরমান তমার কথার কোনো উত্তর দিচ্ছে না,,, কি সমস্যা সেটা তমা বুঝতেছে না,,,, এবার তমা বাধ্য হয়ে ছুটে চলে গেল আরমানের সামনে,,,
 _এই আরমান,,, তুই আমায় এড়িয়ে চলতেছিস কেন,,, (তমা)
,,
আরমান কথাবলার ভাব ভঙ্গি চেঞ্জ করে বলল,,, 
_কে আপনি,,, আর আমার পথ আগলে ধরছেন কেন,,,, (আরমান)
,,
আরমানের এ ব্যবহারে তমা অবাক হয়ে বলল,,,,
_তুই আমায় আপনি করে বলতেছিস,,,
_হুম,,, আপনি কে,,,, 
_কিহহহহহহহ,,,,,,, আমায় চিনতে পারতেছিস না,,,, 
_না,,,, আমার পথ ছাড়ুন আমার কাজ আছে,,,,
,, 
বলেই তমার হাত ধরে সাইটে সরিয়ে দিল,,, আসলে সে চায় না আবার আগের মত তমার ভাই তাকে শাষিয়ে যাক,,, তাছাড়াও আরমান বুঝতে পারতেছে তাদের সম্পর্ক আর বন্ধত্বের মাঝে অটূট থাকবে না,,, তাই সে পিছিয়ে পড়তে চাচ্ছে,,,, 
,,
কিন্তু চাইলেই কি আর পিছিয়ে পড়তে পারে,,, পারবে না,,,, তমার সাথে কাটানো প্রতি মুহুর্ত তার মনের মধ্যে ঝড় তুলে,,, কিন্তু তমার বড় ভাই পায়েল যে তাকে শাষিয়ে গেল,,, আবার যদি শাষায়,,,
,,,
এভাবে কিছুদিন চলে যাওয়ার পর,,, আরমান তমাকে একটা মেসেজ করল,,,, 
_আচ্ছা,,,, তুই কি কালকে দেখা করতে পারবি,,,, (আরমান)
,,, আরমানের মেসেজ দেখে তমার চোখের দু'ফোটা অশ্রু ঝড়ল,,, আর রিপ্লাই দিল,,,
_হুম,,,, কোথায় দেখা করবি,,, (তমা)
_যেখানে রোজই বসে সময় কাটাতাম,,, 
 _আচ্ছা,,, কখন আসবি,,, 
_১০টার দিক,,, 
_আচ্ছা,,, কি করো,,,, 
_কিছু করছি না,,, ঘুমাও,,, আমিও ঘুমাব,,, ভালো থেক,,,
,,,
পরের দিন,,, সকাল ১০টার দিক,,, তমা আগেই এসে বসে আছে কিন্তু আরমানের আসার কোনো নাম গন্ধ নেই,,, তাহলে কি আরমান আসবে না,,,, আসবে আসবে,,, যেহেতু আরমান নিজেই বলেছে সেহেতু সে আসবে,,, ওই তো আরমান এসেছে,,,
_এতক্ষণ লাগে আসতে,,, (তমা)
_এই তো,,, একটু কাজে পড়েলছিলাম তো তাই,,, (আরমান)
_আচ্ছা,,, কি জন্য আসতে বলেছিস বল,,, 
_হুম,,, আগে বল,, কেমন আছিস,,, 
,,,
তমা তো অবাক আরমানের এমন বিহাভ দেখে,,, 
_আমি তো ভালো নেই রে,,,, কেন জানিস,,, তুই আমায় যখন এড়িয়ে চলা শুরু করেছিস তখন আমি খুব কষ্ট পেয়েছি,,, 
_আচ্ছা,,,,, তুই কি জানিস,,,,, 
_কি জানব,,,, 
_তোর বড় ভাই পায়েল আমায় মানা করেছে তোর সাথে কোনো প্রকার মিলামিশা করতে,,,, 
_কিহহহহহ,,,,
_হুম,,,, তোর ভাই পায়েল,,, (সেদিনের সব কথা বলল)
,,,
তমা তো বিশ্মিত হয়ে গেছে,,, সে তো বিশ্বাস করতে পারছে না,,,, ঠিক এমন সময়,,, 
_কি রে কি ভাবছিস,,, (আরমান)
_তুই কি জানিস আমি ধিরে ধিরে তোর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়তেছি,,,, (তমা)
_হুম,,, তা তো এই কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝতে পেরেছি,,, আসলে এই কয়দিন যে আমার কত কষ্টে কেটেছে তা বলার মত ভাষা নেই আমার জানা,,, 
_হুম,,, আমারও,,,
,,,
আরমান আর তমা কিছুক্ষণ নিরব থাকল,,, তারা কেউই মুখ ফুটে বলতে পারতেছে না,,, আসলে তারা যে দুজন দুজন কে মন থেকে ভালোবেসে ফেলেছে তা বোঝাই যাচ্ছে,,, আরমান সব নিরবতা ভেঙ্গে বলল,,,, 
_তুই কি কোনো ছেলেকে ভালোবাসিস,,,, (আরমান)
,,
আরমানের এই প্রশ্ন শুনে তমা বিশ্মিত হয়ে গেল,,, আরমানকে অবাক হয়ে অপলক দৃষ্টিতে দেখতে থাকল,,, কি বলছে আরমান,, যাক একটু দুষ্টুমি করে বলল,,, 
_হুম,,, আমি একটা ছেলেকে ভালোবাসি,,,, (তমা)
,,
তমার এই উত্তর শুনে আরমানের মুখটা শুকিয়ে গেল,,, সে হয়ত এই উত্তর আশা করে নি,,,, 
_আচ্ছা,,, কে রে সেই ভাগ্যবান,,, তোর মত ফাজিল মেয়ের প্রেমিক,,,, (আরমান)
,,
আরমানের চেহারার অবস্থা দেখে তমা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,,, 
_আছে আছে,,,, ছেলেটিও আমায় প্রচন্ড ভালোবাসে,,, কিন্তু কোনোদিন বলতে সাহস পাবে না,,, পাবেই বা কি করে যে ভিতু একটা ছেলে,,, তাছাড়াও সব সময় আমার পিছে পিছে ঘুরে,,, কি আর করব,,, আমিও কিছু বলি না,,, 
,,
কথাগুলো শুনে আরমান মনে হয় আকাশ থেকে পড়ছে,,, মনে হচ্ছে ভিতরে কেউ হাতুর চালাচ্ছে,,,
_তো নামটা কি জানা যাবে,,,, 
_হুম,,,, ছেলেটার নাম নিরব,,, 
,,,
একটু অবাক হলো আরমান,,, কারণ তার নামই তো নিরব কিন্তু সবাই আরমান বলেই ডাকে,,, 
_আচ্ছা,,, ছেলেটির কি অন্য কোনো নাম আছে,,, 
_হুম আছে,,, 
_কি নাম,, 
 _মোঃ আরমান হোসেন নিরব,,,, 
,,
আরমান অবাক হয়ে গেল,,, কি বলছে,,, অবাক হয়ে বলল,,, 
_কিহহহহহহহহ,,,,,,,,,,, (আরমান)
_হুম,,, আমি এই ছেলেটাকেই ভালোবাসি,,, (তমা)
_ভালোই যদি বাসিস,,, তাহলে এত কষ্ট দিস কেন,,,, 
_কষ্ট দিতে ভালো লাগে তাই দিই,,, 
_তাহলে আমিও কিন্তু কষ্ট দিতে জানি,,,,
_তাহলে দিস,, সমস্যা নেই,,,, 
,,,,
এভাবেই কিছুক্ষণ কথোপকথন চলার পর তারা বাড়ি চলে গেল,,, এদিকে তমার ভাই পায়েল আবার আরমানকে পথে আটকালো এবং শার্টের কলার্ট ধরে বলল,,, 
_ওই,,,, তোকে না বলছি তুই আমার বোনের সাথে মিশবি না,,,, (পায়েল)
_আমি তো মিশতেই চাই নি,,, আপনার বোন আমায় বাধ্য করেছে মিশতে,,,, (আরমান)
_কিহহহহহ,,,, 
_হুম,,, আপনার বোনকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন,,, 
,, 
কোনো কথা না বলে আরমানের গালে ২-৪ টি থাপ্পড় বসিয়ে দিলো,,,, কিন্তু আরমান কোনো প্রতিবাদ করল না,,, কারণ একটাই পায়েল তমার বড় ভাই,,,, তো এরপর পায়েল আরমানকে ছেড়ে দিয়ে বলল,,,, 
_এরপর যদি আর কোনোদিন তোকে আমার বোনের সাথে মিশতে দেখি তাহলে তোকে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে দিয়ে আসব,,, (পায়েল)
,,,,
আরমান কোনো কথা বলছে না,,,পায়েলও চলে গেল,,, ইচ্ছে করছে পায়েলকে মেড়ে হাড় হাড্ডি দিয়ে তক্তা বানাতে কিন্তু কিছু করার নেই হাজারও হলে আরমানের হবু শালা তাও আবার বড়,,,, থাক,,, 
,,,
তারপরও আরমান আর তমার প্রেম কাহিনী কিন্তু থেমে থাকে নি,,, তারা দিনের পর দিন,,, রাতের পর রাত,, ফোনের মাধ্যমে প্রেমালাপ চালিয়েছে,,, তাদের কথা বলার যেন শেষ নেই,,, 
,,,
অনন্ত কাল চলে যাবে হয়ত,,, 
,,
এভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর,,,, আরমানের বাবার আবার ট্রান্সফার,,, কি ঝামেলা এমন একটা চাকরি করে শুধু ট্রান্সফার আর ট্রান্সফার,,, কিন্তু এবার আরমান আর কোথাও যাবে না,,,, বাবার ট্রান্সফার যেভাবেই হোক বাতিল করাবেই,,, করিয়েছেও,,, কারণ সে তমা কে ছেড়ে অন্য কোথাও থাকতে পারবে না,,,, 
,,,
,,,
,,,
এভাবেই চলতে থাকল তাদের প্রেমকাহিনী,,, আমি আর বেশি কিছু জানি না,,, জানবই বা কি করে তখন তো আমি তাদের সাথে আর ছিলাম না,,,, আসলে আমি হলাম আরিফ,,, ফুলনাম তো লেখকের স্থানে দেওয়াই আছে,,,, আমি প্রথম প্রথম তমার প্রতি ক্রাশ খেয়েছিলাম,,, 
,,
কারণ তমার বিহাভ গুলো আমার খুব ভালো লাগত,,,, চেহারাটাও মায়াবী,,,, এক কথায় পারফেক্ট,,,,,, 
,,
কিন্তু আমি পিছিয়ে পড়েছি আরমানের জন্য,,,, হয়ত বা উপরে যিনি আছেন তিনিই চাননি আমি তমার সাথে প্রেম করি,,,তিনি চেয়েছেন তমার সাথে আরমানের সম্পর্ক অটুট থাকুক,,, আমিও চাইলাম,,,, 
,,,
এভাবেই কেটে গেল,, গল্পটাও শেষ করে দিলাম,,,, কারণ তো বলেই দিলাম,,,,


THE END





like now our facebook page

join our facebook groups

write a story

কলমবাজের অসাধারণ ২ টা কবিতা

কলমবাজের কবিতা

report now this blog


মন্তব্যসমূহ