সাজব রমজান গল্প প্রতিযোগিতা ২



রমজান।

রহমত এর হাওয়া দিয়ে,
উড়িয়ে দিতে পাপ এর ধূলা।
আসছে রমজান,
প্রভুর সৃস্টির শ্রেষ্ঠবেলা।
আজ ২০১৮ সাল মে, মাস এর ১৭তারিখ।আরবি রমজান মাস এর প্রথম তারিখ।তখন রাত ৩টা হঠাৎ কে জেনু ডাকছে। ইয়া মুহমিনুন(হে ঈমানদার, ইয়া মুসলিমুন(হে মুসলমানগন)।আক্কেল স্নেহেরী বোকরা রামাদান রাক্কিব সাওম(খাও তুমরা ভোর রাত্রের খাবার আগামীকাল রমজান, রাখতে রুজা)। ইনা আল্লাহ্‌ যীব খায়রুম বাইয়েত(নিশ্চুই আল্লাহ দিবে উত্তম ঘড়)।ইনা সুবাহানআল্লাহ(নিশ্চুই আল্লাহ পবিত্র)।বুঝতে আর বাকী রইলো না মসজিদের মুয়াজ্জিন ডাকছে। ওঠে পরিষ্কার হয় খাবার খেয়ে নিলাম।ততখনে ফজরের আজান হচ্ছে।আমার পাশেই থাকেন বশির নামক এক ইন্ডিয়ানি। লোক হিসেবে অনেক ভালো কিন্তু নামাজ পড়ে না। তবে আজ দেখি অন্য বিষয়, বশির ভাই ডাকছে। কিদার হু সব লোগ(কোথায় সবাই) আ যাও একআটডা(চলে আসুও এক সাথে)। মসজিদ মে যাএ নামাজ পারনে কে লীয়ে(মসজিদে যাবো নামাজ পড়তে)।তার যবাবে ওসমান ভাই বলও। আবে কন হে বে, মে কেয়া নিন্দ মে হু,( আরে কেরে আমি কী সপ্নে আছি না কী)।ওসমান ভাই পাকিস্তানি, রসি কথা আর বলতে। ওনার সাথে পাঁচ মিনিট কথা বললে, আর মন চাইবে না তার কাছ থেকে দূরে যেতে।পাশেই সাতাপ বলতে লাগলো wow what a great moments now.. (বাহ কী দারুন সময় এখন).দেখও রমজান আতাহে খুশ খবরি লে কার(দেখ রমজান আসে খুশির সংবাদ নিয়ে)। লোওগো কো হেদায়াত দেনে কে লিয়ে(মানুষ কে সঠীক জ্ঞান অর্জনের জন্য) । অর গরীব কে লিয়ে জেয়াদা আহচান হে রমজান(আর সমাজের নিম্ন শ্রেণী মানুষদের জন্য রমজান খুবই রহমতের)।সাতাপ ইন্ডিয়ানি তার কথা খুবই মূধুর। সাতাপ এর কথা শেষ না হতেই ঈমাম চাচা বলতে লাগলো। হ্যা সাতাপ তুমারি বাদ সাহীহে,(হে সাতাপ তুমার কথা ঠীক) দেখও না বশির রমজান কী পেহেলে নামাজ নেহী পরতে,(দেখ বশির রমজান এর পূর্বে নামাজ পরতু না). আবি বও নামাজ কে লিয়ে বুওলারাহে(এখন সে নামাজ এর জন্য বলতেছে)। মে যাব পাকিস্তান মেরী মুওল্লুক চে আয়া(আমি যখন পাকিস্তান আমার দেশ থেকে আসছি)।তাব রমজান থা(তখন রমজান ছিলো), মেরে পাচ কুচবী নেহী থা খানে পিনি কে লিয়ে(আমার কাছে কিছুই ছিলো না খাওয়ার জন্য)।বাচ ওদার খায়রিয়া মে দেখা (আমি ঐখানে খাদ্য ভান্ডারে দেখলাম)।সব কু সূবা কে লিয়ে খানা দে রাহা হে ওর ইফতারি বী মিলতা হে(সবাই কে ভোর রাতরের খাবার দিতেছে, ইফতারী সহ)। ওদার চেয়ে মে লেকার আয়া পের খায়(ওখান থেকে এনে খেয়েছি), এত বহত আহচান থা মেরে লিয়ে হে নেহী কেয়া?(এটাতু আমার জন্য রহমত ( উপকার)।কী সঠীক তু?)আমি বললাম হ্যা চাচা আল্লাহ্‌ মিলিয়ে দেয় তার বান্দাকে।আর রমজান এর পুরুষ্কারতু আল্লাহ নিজে দিবেন।আল্লাহ বলেছেন হে বান্দা সাওম আমার জন্য তার প্রতিদান আমি দেবো।আর দেখেন রমজান মাসে কতটা শান্তি থাকে, আমাদের কাজ দিনে করা লাগে না রাতে একুটু করও।সবাই পাপ কাজ থেকে বাঁচার চেষ্টা করে।অন্য মাস থেকে রমজান মাসে বরকত অনেকটা বেড়ে যায়।দেখেন না ওসমান ভাই গত রমজানে ১০.০০০ রিয়াল কাজ করেছেন। কিন্তু রমজান এর পর থেকে এ রমজান পর্যন্ত, ৫ হাজারও এক সাথে করতে পারে নাই।আসলেই রমজান মাস আল্লাহর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মাস।এ মাসে অন্য মাস থেকে সাওয়াবু বেশী, একটি নফল ইবাদাত গত মাসের সুন্নত এর চেয়ে বেশী সওয়াব, সুন্নত ফরজ এর সমতুল্য আর ফরজ ৭০ গুন বেশী।আবার দেখেন আল্লাহ যেহেতু বলেছে, রমজান আল্লাহ এর জন্য তার প্রতিদান আল্লাহ দিবেন। চিন্তা করেন আল্লাহ এর কাছে কী নেই, আল্লাহ সর্ব উত্তম পুরুষ্কার রেখেছেন নিশ্চিত রমজানের জন্য।
তাছাড়া রমজান মাসেই যাকাত আদায় করার জন্য, আল্লাহ ধনি দের উপর ফরজ করেছেন। যা গরীবলোক দের জন্য অনেক অনেক উপকারি। আবার আমাদের জন্য বড় খুশির সংবাদ আছে ভাই ও চাচারা রমজান মাসে ওমরাহ্‌ করলে এক হজ্ব এর সাওয়াব পাওয়া যায়।আমার কথা মূখেই রয়েছে তখন বশির ভাই বলতে লাগলোও।
রমজান চে মিলেগা,(রুযা থেকে পাবে)
জান্নাত হে সাব কো।(জান্নাত সবাই)
চাবি নেহী মিলে গা,(চাবি পাবে না)
জান্নাত কে চাবিতু মিলে গা,(জান্নত এর চাবি পাবে)
যাব নামাজ মে যায়গা।(যখন নামাজ পড়তে যাবে)
বশির ভাই এর ছন্দ শুনে সবাই বাহবা দিয়ে চললাম ফজরের নামাজে।
(সমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ