ঈদ।




##ঈদ
##সুলতানা 
সভ্যতারর নতুন ক্যানভাসে
ঢাক ঢোল পিটিয়ে ঈদ আসে
বড় বড় শহর বন্দর থেকে গাট্টি বোচকা হাতে কাঁধে,
ঝাঁক ঝাঁক রঙিন প্রজাপতির মত সাহেব সাহেবানিরা নীড়ে ফিরে।
এ বাড়ি ও বাড়ি বেড়ায়
পেট ফাপিয়ে গোস্ত পোলাও খায়।
রঙিন জামা কাপড়ে সেন্ট মাখিয়ে
বাতাসে সুভাষ ছড়ায়।।।
কিন্তু, লাখ লাখ অসহায় সোনামণিদের কাছে তো ও রকম সাতরঙা শাড়ি উড়িয়ে ঈঁদ আসেনা।
ওদের ঈদ আসে ক্ষুধা, দারিদ্র, হতাশা,লাঞ্চনা বঞ্চনা,অশ্রু আর না পাওয়ার মিছিল নিয়ে।।
ঈদ আসে আবার চলে যায়;কিন্তু ওদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না।
আফগান, ইরাক,কাশ্মীর, লেবানন, বসনিয়া, মায়ানমারের মা বাপ স্বজন হারা শিশুদের কাছে ঈঁদ তো বিষাদের করুণ কান্নার সুর হয়ে বাজে। 
নিপীড়নের কষাঘাতে জর্জরিত মণি দের মুখে তুলে দেবার মত নেই এক টুকরো শুকনো রুটি,
গায়ে নেই জামা,নেই মাথা গোজার এক চিলতে ঠাঁই।
ওদের মাথার উপর দিয়ে ঘুরে অহর্নিশ শুকুনের জঙ্গি বিমান দিশা হারা তবুও পাচ্ছেনা মুক্তির উপায়।।
ওদের জন্ম কি কেবলই অভিশাপ??
এক মুঠো খাদ্যের অন্বেষণে কাগজ কুড়ায়
বস্তা কাঁধে সারাদিন এপথ ওপথে ঘুড়ে বেড়ায়।
ডাস্টবিন এ ফেলে দেয়া বড় লোকের অর্ধচরবিত খাবার পেলেই মুখে তুলে নেয়
প্রবল দূর্গন্ধে অক করে বমি করে দেয়
চোখের জল ফেলতে ফেলতে আবারো গিলে খায়।।
এরই নাম কী ঈদ??? এরই নাম কী আনন্দ??
উপরের আকাশ আর পায়ের তলার মাটি ওদের শেষ আশ্রয়
ফুটপাতের রোদ আর বৃষ্টিই ওদের নিত্য সাথী।
শীতের ঠকঠকে রাতে ঠান্ডার যন্ত্রণায়
ওরা উদোম গায়ে কাগজ পুড়িয়ে আগুন পোহায়।
তারপর কাঁধের ছালার বস্তায় উদ্যম দেহ ঢুকিয়ে দিয়ে বড় বাড়ির সিঁড়ি কিংবা গেটের নিচে রাত কাটায়।
কিন্তু, ঘুম তো আসেনা
চখের জলে বিনিদ্র রাত। কেটে যায়
অনাহারে, অর্ধাহার এ অমনি করে
কত শত ঈদ চলে যায় তার হিসেব নেই।
জঠরের অগ্নিজ্বালায় জীবন বাঁচাবার তাগিদে
ওরা কেবলই এক মুঠো খাদ্য চায়।
ওরা বাঁচতে চায়,ওরা বাঁচতে চায়।।

মন্তব্যসমূহ